ব্রেকিং নিউজ
পাইকগাছায় সাবেক ইউপি সদস্যের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রংপুরের সুধী সমাজ ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হাজীগঞ্জে বিয়ের ৪ মাসের সন্তান প্রসব নববধূ আগামীকাল রবিবার এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ , জানা যাবে যেভাবে পাইকগাছায় লবন পানি বন্ধের দাবীতে পথসভা অনুষ্ঠিত দাকোপে হকার্স ইউনিয়নের আহবায়ক কমিটি গঠন
×

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৭/৩/২০২৪, ৯:৩৭:৫৭ PM

চোরাচালানকৃত মালামালসহ গ্রেফতার ১০ ভারতীয় নাগরিক

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি বাসা থেকে ১০ জন ভারতীয় নাগরিক ও এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীসহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের হেফাজত থেকে ইন্ডিয়ায় চুরি হওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২১টি স্মার্টফোন, পাঁচটি ভারতীয় পাসপোর্ট, নগদ হাজার টাকাসহ বিপুল পরিমাণ ভারতীয় যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও জেল, কসমেটিক্স, থ্রি পিস, শার্ট, পুরুষ ও মহিলার জুতা, স্যান্ডেল, খালি প্যাকেট, কার্টুন উদ্ধার করেছে।

 ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি বাসা থেকে ১০ জন ভারতীয় নাগরিক ও এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীসহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের হেফাজত থেকে ইন্ডিয়ায় চুরি হওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২১টি স্মার্টফোন, পাঁচটি ভারতীয় পাসপোর্ট, নগদ হাজার টাকাসহ বিপুল পরিমাণ ভারতীয় যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও জেল, কসমেটিক্স, থ্রি পিস, শার্ট, পুরুষ ও মহিলার জুতা, স্যান্ডেল, খালি প্যাকেট, কার্টুন উদ্ধার করেছে।

গ্রেফতারকৃত ভারতীয় নাগরিকরা হলো- রাজা শাও (৩৯), পিতা- মাহাদেব শাও, থানা-চন্দন নগর, জেলা- হুগলী, পশ্চিম বঙ্গ, ভারত, পাসপোর্ট নং-Z6949325 ২. পঙ্খজ বিশ্বাস (৩৫), পিতা- পঞ্চানন বিশ্বাস, থানা- হাসখালী, জেলা- নদীয়া, পাসপোর্ট নং- N9409526;  ৩. উৎপল মাইটি (২৫), পিতা- উত্তম মাইটি, থানা- উল্টাডাঙ্গা, জেলা- কলকাতা, পাসপোর্ট নং-Z5112388; ৪, সোনু বর্মন (২১) পিতা- বিনদ বর্মন, থানা- বাটপাড়া, জেলা- উত্তর ২৪ পরগনা,পাসপোর্ট নং-U 9252242; ৫. দীপঙ্কর ঘোষ (২৪) পিতা- নন্দ গোপাল ঘোষ, থানা- কৃঞ্চনগর, জেলা- নদীয়া, পাসপোর্ট নাই; ৬. রাজু দাস (২২), পিতা- মদন দাস, থানাঃ কৃঞ্চনগর, জেলা- নদীয়া, পাসপোর্ট নাই; ৭. সুজন দাস (২৭), পিতা- সুভাষ দাস, থানা- কৃঞ্চনগর, জেলা- নদীয়া, পাসপোর্ট নং-্Z 7252013,  ৮. এস কে আজগর আলী (২১) পিতা- শেখ হায়দার আলী, থানা- ইকবালপুর, জেলা- কলকাতা, পাসপোর্ট নাই; ৯. লারাইব আশ্রাব (২১), পিতা- জাবেদ আশ্রাফ, থানা- ইকবালপুর, জেলা- কলকাতা, পাসপোর্ট নাই ১০. সমরজিৎ দাস (৩০), পিতা- বিফল দাস, থানা- কৃঞ্চগঞ্জ, জেলা- নদীয়া, পাসপোর্ট নং-X 7941656। 

গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী হলো ১১. মোঃ মুরাদ গাজী (২৮), পিতা: মো: শহিদুল্লাহ গাজী সাং- চর পচন্দি, থানা- চাদপুর সদর, জেলা-চাদপুর। গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশি মুরাদ গাজী তার বোন ববিকে নিয়ে মধ্য বাড্ডায় নিজস্ব বাসায় দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে ভারতীয় কাপড়-চোপড়, জুতা স্যান্ডেল, তেল, সাবান, কসমেটিক্স, সেক্স পীল ও জেল বিক্রি করে আসছে। নিম্নমানের এই সমস্ত সামগ্রীগুলো বিক্রয় সংক্রান্ত বহু রশিদ এবং রশিদ বই পাওয়া গেছে। 

গ্রেফতারকৃত ভারতীয় এবং বাংলাদেশী ব্যবসায়ী স্বীকার করেছে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে যে সমস্ত মালামাল গুলো জব্দ করেছে তার কোনটাই বৈধ পথে আনা হয়নি। কলকাতা থেকে ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে যে আন্তঃদেশীয় ট্রেন চলাচল করে সেই ট্রেনে করে তারা দীর্ঘদিন ধরে কোন ট্যাক্স পরিশোধ না করে এই ভারতীয় মালামাল গুলো চোরাই পথে  বাংলাদেশ আনে এবং বিক্রি করে।

গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছে ইতোপূর্বে তারা শত শত চোরাই মোবাইল, শত শত বোতল মদ এবং বিয়ার বাংলাদেশে এনে বিক্রি করেছে। রমজান মাস ও ঈদের পূর্বে মদ বিয়ার না এনে কোন শুল্ক /ভ্যাট পরিশোধ না করে অবৈধভাবে শুধু কসমেটিক্স, কাপড়-চোপড়, জুতা স্যান্ডেল, সেক্স পিল জেল এনে তারা মজুদ করতেছিল। 

বাংলাদেশে নামাজ পড়তে গিয়ে, জনসভায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে, পথিমধ্যে চলতে গিয়ে অথবা মার্কেটিং করতে গিয়ে প্রতিদিন অনেক আইফোন ও স্যামসাংসহ অন্যান্য দামি ব্রান্ডের ফোন চুরি হয়। এ সংক্রান্তে চোররা ধরা পড়লেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মোবাইল উদ্ধার হয় না। চোর এবং তাদের মহাজনদেরকে গ্রেফতার করে জানা গিয়েছে যে বাংলাদেশে চুরি হওয়া ভালো মানের দামি মোবাইলগুলো পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে বিক্রি হয়ে থাকে।

গ্রেফতারকৃত কয়েকজন এবং তাদের অপরাপর সহযোগীরা বাংলাদেশে চুরি হওয়া নামি দামি মোবাইলগুলো স্বল্প দামে কিনে ভারতের বাজারে বিক্রি করে বলে জানা গেছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুনুর রশিদ গঠনস্থল পরিদর্শন করে আইনের ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টিতে সক্রিয় আছেন। বিপুল মালামালের জব্দ তালিকা তৈরি করে আইনানুর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। ভিনদেশী সামগ্রী চোরাই পথে বাংলাদেশে আনয়ন করায় স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্টের সংশ্লিষ্ট ধারা এবং ভিনদেশী নাগরিক পাসপোর্ট/ভিসা ছাড়া বাংলাদেশের প্রবেশ করায় পাসপোর্ট আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রজ্জুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।